বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
তিথীর ছটফটানি দেখে রাজ আর হাসি চাপিয়ে রাখতে পারলো না।
হা হা হা.....
তুমি হাসছো।ও তার মানে তুমি এতটা সময় ঘুমের ভান ধরে আছো।আজ তোমাকে.....
তিথী রাজকে বালিশ দিয়ে মারছে।এই লাগছে ছাড়ো।
নাহ, তোমাকে আমি ছাড়বো না।দুষ্ট ছেলে।আজ তোমাকে আমি...
আমাকে তুমি... কি করবে।
তোমাকে আমি প্রচুর মারবো আর চুল টেনে ছিড়বো।
এই না না থাক।সবাই তোমাকে টেকোর বউ বলবে।
হুহ, কে বলবে শুনি?আমি মোটেও তোমার বউ নই।
তবে কি তুমি আমার কেউ নয়?
না, কেউ নয়।
ওকে ফাইন, এবার এই কথা বলার শাস্তি তোমাকে পেতে হবে।
রাজ তিথীর হাত দুটো চেপে ধরল। তিথী ব্যাথায় কুকিয়ে উঠে।
কিহ জানেমন; ব্যাথা লাগছে বুঝি।তোর সাহস কি করে হয় আমার মুখের উপর তর্ক করার। যেই একটু ভালো করে কথা বলেছি, ওমনি মাথায় চড়ে বসেছিস।আজ তোকে পালিশমেন্ট দিয়েই ছাড়বো।
রাজ তিথীকে মুহূর্তে কোলে তুলে নেয়।তিথীকে নিয়ে বাথরুমের শাওয়ারের নিচে বসিয়ে শাওয়ার ছেড়ে দিল।
আজ সারা রাত তুই এখানে ভিজবি।আমি দরজা পিছন থেকে লাগিয়ে দিয়ে যাচ্ছি। কাল সকালেই দরজা খুলবো।এই বলে রাজ বাথরুম থেকে বেরিয়ে গেল।
সকালের রোদ চোখে পরায় রাজের ঘুম ভেঙে গেল। আড়মোড়া ভেঙে রাজ বিছানায় উঠে বসলো।
আশেপাশে তাকিয়ে তিথীকে দেখতে পেল না। রাতের কথা মনে পরতেই রাজ হন্তদন্ত হয়ে বাথরুমে প্রবেশ করল। শাওয়ারের নিচে মাথা হাটুতে লাগিয়ে তিথী এখনো বসে আছে।
রাজ তিথী বলে ওর গায়ে হাত দিতেই তিথী ফ্লোরে ঢলে পড়লো।
রাজ তিথীকে কোলে করে তুলে এনে বিছানায় শোয়ালো ।তিথীর সমস্ত শরীর ঠান্ডায় জমে গেছে। রাজ তিথীর সমস্ত পোশাক খুলে শরীর ভালো করে মুছে দিল।তিথীর পোশাক পাল্টে নিজের পোষাকও পাল্টে নিল।তিথীকে কোলে নেওয়ার তার পোষাক ভিজে গিয়েছিল।
রাজ তিথীর হাতে পায়ে মালিশ করতে লাগল যাতে তিথীর শরীর গরম হয়।
রাজ... রাজ... তুমি কেনো আমাকে এতো কষ্ট দাও।আমার দোষটা কোথায় বল ...তিথী ঘোরের মধ্যে প্রলাপ বকতে থাকল।
রাজ তিথীর কপালে একটা ভালবাসার পরশ একে দিল।
তিথী এক টানে রাজকে নিজের নিজের কাছে টেনে নিল।তিথী আজ রাজকে কাছে, চাইছে।
রাজ নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারলোনা।
তিথীর মুখের সামনের চুলটা সরিয়ে দিয়ে, রাজ তিথীর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট মিলিয়ে দিল।অনেকটা সময় কেটে গেলে তিথীর ঠোঁট থেকে বুকে নেমে এলো।তিথী রাজের প্রতিটি স্পর্শে কেঁপে কেঁপে উঠছে। তিথীর শাড়ির আচলটা সরিয়ে রাজ নিজেকে তিথীর মাঝে হারিয়ে ফেললো। অনেকটা সময় পর্যন্ত তারা সুখের আবেশে ডুবে রইলো।
ডাইনিং এ বসে রাজ ও তিথীর জান্য অপেক্ষা করছে আসাদ সাহেব।
এবার তিনি স্ত্রীকে বলে উঠলো। কি ব্যাপার তিথী আর জামাই বাবাজি এখনো আসছেনা কেনো।
আরে ওরা ছেলে মানুষ নতুন নতুন বিয়ে করেছে।এখনতো নিজেদেরকে একটু বেশি সময় দিবে।
হ্যা ঠিক বলেছো আমাদের বিয়ের পরও তো আমরা একটু বেশি সময় কাটাতে চাইতাম।(দুষ্টমি হাসি দিয়ে)
ছিহ!তোমার আর লজ্জা শরম হলোনা।এই বয়সে এসে যা মুখে আসে তাই বলো।
এই আমার কি আর এমন বয়স হয়েছে। সবাই বলে আমাকে দেখতে ৩০ বছরের যুবক লাগে।
না,না।তোমাকেতো ১০ বছরের খোকা লাগে। হরলিকস এনে দেই এক ঘ্লাস(রাগে গজরাতে গজরাত)
আরে ফুলটুসি রাগ করো কেনো?আসো তোমার রাগ অভিমান ভাঙ্গিয়ে দেই।
ছিহ!এই বুড়ো বয়সেও তোমার আক্কেল হলো না।বাসায় মেয়ে জামাই আছে। আর তুমি.....
চলবে.......
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now